Menu
কানাডা কি ভিজিট ভিসার মাধ্যমে থাকার জন্য সঠিক?

কানাডাতে কাজের ভিসার জন্যে কী করতে হবে?

অনেকের ধারণা, কানাডায় ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে সরাসরি আসা যায়, তারপর কানাডায় এসে কাজ খুঁজে নিতে হয়। ব্যাপার তা আসলে সে রকম নয়। এখানে চাকরির বাজারের চাহিদার ওপর ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে আসতে হয়। কোনো কোম্পানি যদি একটি চাকরির জন্য কানাডা থেকে লোক খুঁজে না পায়, শুধু তখনই তারা বিদেশ থেকে ওই চাকরির জন্য লোক আনতে পারে।

সে ক্ষেত্রে প্রথমে তারা কানাডার বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেবে, কয়েকবার বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরও যদি তারা কাঙ্ক্ষিত লোক না পায়, তখন তারা সরকারের কাছে আবেদন করে কানাডার বাইরে থেকে ওই কাজের জন্য লোক আনার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ অপেক্ষা করে ওয়ার্ক ভিসায় কানাডায় আসার জন্য। এই ধরনের চাকরির খবর (http://www.indeed.com) ওয়েবসাইটে থাকে। আরও কিছু ওয়েবসাইটে থাকে। ওই ধরনের চাকরির ওয়েবসাইটে গিয়ে Labor Market Impact Assessment (LMIA) লিখে সার্চ দিলে চাকরিগুলো পাবেন। আপনার রেজুমে (বায়োডাটা) যদি তাদের পছন্দ হয়, তাহলে তারা আপনাকে ইন্টারভিউর জন্য ডাকবে। এই ইন্টারভিউগুলো অনলাইন হয়ে থাকে। যদি তারা আপনাকে যোগ্য মনে করে, তাহলে তারা আপনাকে নিয়োগ দেওয়ার আগে সরকারের কাছে এলএমআইএর জন্য আবেদন করবে।

তারপর সরকার আরেক দফা যাচাই-বাছাই করবে। কানাডার সরকার দেখতে চাইবে, ওই কোম্পানি সঠিক লোক নিয়োগ দিয়েছে কি না, নাকি ওই কোম্পানি টাকার বিনিময়ে বিদেশ থেকে লোক আনছে।

১. কমপক্ষে HSC বা সমমানের পাস থাকতে হবে।
২. IELTS 4.5

৩. ১ বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা। যে কোন চাকরি হলেই হবে। শুরু প্রপার ডকুমেন্ট থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে হলে ভালো হয়।
৪. পর্যাপ্ত ব্যাংক সলভেন্সি। সাধারণত দশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা ব্যাংকে দেখাতে হয়।

কানাডায় জব ভিসার জন্য শুধু প্রয়োজন সঠিক ডকুমেন্ট। অর্থাৎ আপনার সকল তথ্য কানাডা গর্ভামেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী হতে হবে।
সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে হয়ে যাবে আপনার সাকসেসফুল কাজের ভিসা তথা মাইগ্রেশন।
সাধারণত কানাডার ভিসার জন্য নিচের ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন হয়,

  • অনলাইন এপ্লিকেশন ফরম পুরুন।
  • পাসপোর্ট এর Information Page এর স্কান কপি।
  • ফটোগ্রাফ (8 কপি ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা (Size 35″x 45″) অথবা সফট্ কপি।
  • সার্টিফিকেট: সকল শিক্ষা সন
  • অভিজ্ঞতার সনদ পত্র।

*আপনার মেডিকেল রিপোর্ট লাগবে। আপনি যে সুস্থ সেটা প্রমান করতে হবে।
○আপনি কোন সন্ত্রাসী গোষ্টির সাথে জরিত নেই তার প্রমান পত্র
○আপনি কানাডা থাকা অবস্থায় কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জরিত হবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা

আপনার ভোটার আইডি কার্ড, জন্মদিন সহ সকল জাতীয় কাগজ পত্রের ফটোকপি
○আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমানপত্র।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সঃ কানাডা কাজের ভিসা আবেদন করার সময় আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ লাগবে । আপনার নামে কোন মামলা আছে কিনা বা আপনার নামে কোন অভিযোগ আছে কিনা সেটা দেখার জন্য দরকার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স । পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে আপনি আপনার নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন ।

অনেকে জব অফারের নাম করে আপনার কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিতে পারেন। অনেকে আপনাকে বলতে পারেন যে তাঁরা আপনাকে ৮–১০ লাখ টাকার বিনিময়ে জব অফার এবং এলএমআইএ জোগাড় করে দেবেন। মনে রাখবেন, আপনাকে কেউ টাকার বিনিময়ে জব অফার বা এলএমআইএ জোগাড় করে দিতে পারবেন না।

আপনাকে আপনার নিজের যোগ্যতায় ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি নিতে হবে। যখন দেখবেন, আপনাকে কেউ ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরির জন্য জব অফার পাঠানোর কথা বলবেন, তখনই মনে করবেন, তা সঠিক নয়।হেভি ট্রাক ড্রাইভার, বিভিন্ন ওল্ড হোমে সাপোর্ট ওয়ার্কার, ইন্ডিয়ান বা চায়নিজ রেস্তোরাঁয় শেফ, কম্পিউটার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারসহ বেশ কিছু টেকনিক্যাল কাজে কানাডা ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে বিদেশ থেকে লোক আনে।

বাংলাদেশে যদি আপনি বাংলাদেশের কোনো একটি কাজের জন্য আবেদন করেন, তা হলে আপনাকে শুধু বাংলাদেশি মানুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আর কানাডার কোনো একটি ওয়ার্ক ভিসার কাজের জন্য আপনাকে সারা পৃথিবীর কমপক্ষে ১৮০টি দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা, ইংরেজি ভাষাগত যোগ্যতা ও পরীক্ষার সময় চাকরিদাতাকে কতটুকু কনভিন্স করতে পারছেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা।

সরকার যাচাই–বাছাই করার পর যদি আপনাকে যোগ্য মনে করে, তবে এলএমআইএ ইস্যু করবে। আপনি কোম্পানির কাছ থেকে জব অফার ও সরকার কর্তৃক এলএমআইএ পেলে তখন ভিসার জন্য আবেদন করবেন। এ ধরনের ভিসা এক–দুই বছরের জন্য দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে কয়েক বছর কাজ করে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

salamsony

Alhamdulliha
View All Articles