Menu

বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ট্যুরের নিয়মাবলী ও ভিসা প্রসেসের সহজ নিয়ম

⏩ #পাকিস্তানট্যুরেরনিয়মাবলী…….. 🇧🇩✈🇵🇰

পাাকিস্তান ট্যুরের জন্য প্রথমেই অনলাইনে পাকিস্তানের ভিসা আবেদন করতে হবে। ঘরে বসে অথবা যেকোনো ট্রাভেল এজেন্সী থেকে এই আবেদন করতে পারবেন। যেমন জিলহজ্জ গ্রুপ বাংলাদেশ হতে পারে আপনার প্রধম বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান ।

এখন ভিসা ফ্রী হওয়ায় টাকা পয়সা লাগবেনা৷ ই ভিসা পেয়ে যাবেন। ‍ ভিসার আবেদন জন্য লিংক এ ক্লিক করুন

ভিসা আসার পর টিকেট কনফার্ম করতে হবে। পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল ঘুরতে চাইলে আমরা অবশ্যই লাহোরে যাবো। কারন ইসলামাবাদ বা করাচীর ভাড়া বেশি। ঢাকা-টু-লাহোর রাউন্ড টিকেট (যাওয়া-আসা) এর দাম প্রায় ৫৫ হাজার থেকে ১ লাখ অব্ধি উঠানামা করে। আপনার সুবিধামত কম খরচের একটা এয়ারলাইন্সের টিকেট বুক করে নিবেন।

এভাবে বিমান যোগে পৌছাতে হবে লাহোরে। লাহোর থেকে বাসে করে পৌছুতে হবে রাজধানী ইসলামাবাদ। লাহোর এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি বা অন্য কিছু ভাড়া নিয়ে চলে যাবেন সিটি বাস স্টেশনে (ব্যান্ড রোড)। লাহোর-টু-ইসলামাবাদ রুটের যেকোনো একটা বাসে উঠে ৫ ঘন্টা জার্নি করে চলে আসবেন ইসলামাবাদ। খরচ পরবে ১ হাজার টাকার মত।

ইসলামাবাদে অনেক ক্যাটাগরির হোটেল আছে। আপনার বাজেট অনুজায়ী একটা বেছে নিয়ে ২-১ দিন থাকতে পারেন সেখানে। আমার কাছে মনে হয়েছে ইসলামাবাদ বিশ্বের ২য় সুন্দরতম রাজধানী, তাই চাইলে কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করে ঘুরে দেখতে পারেন অত্যন্ত সুন্দর এবং আধুনিক এই শহরটিকে।

⏩ কারেন্সি চেঞ্জিং…….

লাহোরে এসেই প্রথমে কোনো ব্যাংক বা এয়ারপোর্টের কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে বাংলাদেশি টাকাকে রুপিতে কনভার্ট করে নেবেন। নরমালী ১০০ টাকা = ১৯০ রূপি। তবে কনভার্টের সময় কিছুটা কম দেয়া হয়।

⏩ প্রাথমিক থাকা/হোটেল বুকিং….

মুল ট্যুর শুরুর পূর্বে পাকিস্তানে গিয়ে আপনাকে ১-২ দিন লাহোর বা ইসলামাবাদে থাকতে হবে। আপনি চাইলে লাহোর/ইসলামাবাদ গিয়ে অথবা বাংলাদেশে থেকেই অনলাইনে হোটেল বুক করতে পারবেন। যদিও অনলাইন বুকিং দেয়া হোটেলগুলো এক্সপেন্সিভ। আপনার সাথে যদি মহিলা বা শিশু থাকে, তাহলে ১-২ দিনের আগাম হোটেল বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন। নতুবা দরকার নেই, কারন খরচ বেড়ে যাবে।

⏩ মুল ট্যুর……

এবার ইসলামাবাদ থেকে শুরু হবে আপনার মুল ট্যুর। খাইবার পাখতুনখা, গিলগিট-বাল্টিস্তান এবং আজাদ কাশ্মীর প্রদেশের যেকোনো অঞ্চল ট্যুরে যেতে পারবেন এখান থেকেই।

এবার আপনি দুই পদ্ধতিতে ট্যুর করতে পারেন…

১. স্বাধীন ভাবে নিজের ইচ্ছা মত।
২. কোনো ট্রাভল এজেন্সি বুক করার মাধ্যমে।

পাকিস্তানে আপনার যদি কোনো পরিচিত ব্যাক্তি থাকে, তাহলে তাকে নিয়ে স্বাধীন ভাবে পর্যটন অঞ্চলগুলো ঘুরতে পারেন। অথবা আপনি যদি উদ্দোগী হন এবং আগে থেকেই পর্যটন স্পটগুলো সম্পর্কে ভালো ভাবে তথ্য জেনে নেন, তাহলে নিজেই উদ্দোগেই ট্যুর করতে পারেন। এতে খরচ কম হবে।

আর যদি আপনি বিদেশ ভ্রমন সম্পর্কে একেবারেই অনভিজ্ঞ হন বা নিজের উদ্দোগে ট্যুর করতে অপারগ হন, তাহলে একটা ট্রাভল এজেন্সির সাথে কন্টাক করতে পারেন। তারা আপনাকে জিপ গাড়ির ব্যাবস্থা করে দিবে, ড্রাইভার কাম ট্যুর গাইডও সাথে দিয়ে দিবে। এতে করে আপনার ট্যুর করা একেবারে ইজি হয়ে যাবে, যদিও খরচ একটু বেশি হবে। তবে ৪-৫ জন গ্রুপ করে ট্যুরে গেলে খরচটা পুশিয়ে যাবে।

⏩ খরচ কত হতে পারে……?

প্রথমেই বলে রাখি, পাকিস্তানে থাকা-খাওয়া এবং অভ্যন্তরিন যাতায়ত খরচ বাংলাদেশের মতই বা এর চেয়েও কম। তাই আপনি সেখানে যত দিনই থাকুন, তাতে খরচ তেমন বাড়বে না। মুল খরচটাই হলো বিমান ভাড়া।

পাকিস্তান ট্যুরের প্রধান কিছু খরচ।

▶ পাকিস্তানী ভিসার মুল্য “ফ্রি”।
▶ ঢাকা টু লাহোর বিমান ভাড়া প্রায় ৫৫ হাজার থেকে -১ লাখ।
▶ লাহোর টু ইসলামাবাদ (যাওয়া-আসা) বাস ভাড়া ২/৩ হাজার টাকা।

ধরুন পাকিস্তানে ১৫-২০ দিন অবস্থান করলে হোটেল বিল, খাবার, যাতায়ত, ঘুরাঘুরিতে খরচ হবে আনুমানিক ১৫-২৫ হাজার টাকা।

এটা হচ্ছে সিঙ্গেল ১ জনের হিসাব। কিন্তু গ্রুপ ট্যুরে গেলে খরচ অনেক কমে যাবে। ধরুন ৪ জনের একটা গ্রুপ গেলেন। তাহলে ১ টা ডবল বেডের রুম ভাড়া নিয়েই চার জন থেকে যেতে পারবেন। কিছু যায়গায় যেতে হলে গাড়ি ভাড়া নিয়ে যেতে হয়। সেসব ক্ষেত্রে ১ জনের ভাড়াতেই চারজন ঘুরতে পারবেন৷ এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ কমে আসবে। তাই অবশ্যই গ্রুপ হিসেবে ৪-৫ জন মিলে যাবেন।

⏩ কোথায় কোথায় ঘুরবেন….?

নর্থ পাকিস্তানে ঘুরার জায়গার কোনো অভাব নাই। আপনি একটানা ১ বছর ধরে ঘুরলেও আপনার স্বাদ মিটবে না। তবে আমাদের যেহেতু এত ঘুরার সামর্থ নেই তাই আমরা বেছে বেছে কিছু যায়গায় ঘুরতে পারি। যেমন…..

১. সোয়াত
২. হুনজা
৩. স্কার্দু
৪. আজাদ কাশ্মীর।

এগুলো খুবই পপুলার পর্যটন অঞ্চল। তবে এগুলোকে আবার ছোটখাটো কোনো পর্যটন স্পট ভাববেন না। কারন এগুলো একেকটাই বাংলাদেশের ২-৩ টা জেলার সমান সাইজের। এগুলোর ভেতর আবার ছোট ছোট অনেক পর্যটন স্পর্ট আছে। যেমন….

সোয়াত…; কামরাট ভ্যালি, কালাম ভ্যালি, মালুম জব্বা রিসোর্ট, মহোদন্ড লেক, কুন্ডোল লেক ইত্যাদি….

হুনজা…; হুনজা ভ্যালি, আতাবাদ লেক, আলতিত ফোর্ট, বালতিত ফোর্ট, মাউন্ট রকাপুসি ইত্যাদি…..

স্কার্দু…..; সার্ফারাঙ্গা কোল্ড ডেজার্ট, আপার কাচুরা লেক, লোয়ার কাচুরা লেক, সাতপারা লেক, স্কার্দু সিটি ইত্যাদি….

আজাদ কাম্মীর…; মুজাফফরাবাদ সিটি, নীলাম ভ্যালী, রাত্তি-গালি লেক, চিত্তকথা লেক, ইত্যাদি….

একটা কাজ করুন…. উপরোক্ত এই পর্যটন স্পর্ট গুলো সম্পর্কে ইউটিউব ভিডিও বা আমাদের গ্রুপের পোস্ট পড়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। এর ভেতর যেই স্পর্ট গুলো আপনার সবচেয়ে ভালো লাগে তার একটা তালিকা বানিয়ে ফেলুন। পাকিস্তান গেলে তখন সেই তালিকা অনিজায়ী ট্যুর করবেন।

⏩ থাকা/হোটেল…

উপরোক্ত সবগুলো স্থানেই আবাসিক হোটেল আছে। বিশেষ করে হুনজা এবং সোয়াতে হোটেলের পরিমান বেশি। স্কার্দুতে হোটেল কম। বড় হোটেল গুলোর লোকেশন ইন্টারনেটেই পাবেন, আগাম বুকও করতে পারবেন। এছাড়াও ওখানে যাবার পর কম খরচের স্থানীয় হোটেল পাবেন।

আরেকটা কাজ করা যেতে পারে। পোর্টেবল তাবু কিনে নিজেদের মত করে থাকা যেতে পারে। লোকালয় থেকে কাছে, তবে নিরিবিলি-মনুষ্যহীন স্থানে তাবু খাটাবেন। অনেক বিদেশি ট্রাভেলারকে দেখেছি পাকিস্তানে গিয়ে এই কাজ করতে। এর ফলে খাওয়ার খরচ ছাড়া আর কোনো খরচই হবেনা। তবে একাজ তখনই করবেন, যখন আপনারা ৪-৫ জনের গ্রুপ থাকবেন, আর সাথে একজন পরিচিত পাকিস্তানী নাগরিক থাকলে ভালো হবে। আর হ্যা, শীতকালে এই কাজ না করাই উচিত। ওখানকার প্রচন্ড ঠান্ডা সহ্য করা খুব কঠিন।

এছাড়া সবগুলো অঞ্চলেই পাকিস্তান সরকারের টুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার আছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সহায়তা পেতে পারেন।

⏩ কিছু বার্তি পাওয়া….

সোয়াত, হুনজা এবং স্কার্দু, এই তিনটি অঞ্চল মোটামোটি একই ডিরেকশনে। আর এগুলোতে যেতে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম সড়ক কারাকোরাম হাইওয়ে দিয়ে। বিশ্বাস করুন, খোলা জীপে চড়ে যখন কারাকোরাম পাড়ি দেবেন, সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না।

আর হুনজায় গেলে আরো দুটো বার্তি জিনিস পাবেন। ১ম টা হলো ‘বাবুসর পাস’ বিশ্বের সবচেয়ে উচু সড়ক। যেখানে মেঘও আপনার নিচে দিয়ে বইবে। আর ২য়টি হলো ‘পাসু কোন’ যেখান গেলে মনে হবে রাস্তা বুঝি আর কখনো শেষ হবেনা, সামনের পাহাড় গুলোর কাছেও কোনোদিন পৌছানো যাবে না।

আর আজাদ কাশ্মীরে যেতে হয় পীর চিনসি রোড দিয়ে। এটাও কারাকোরাম হাইওয়ের চেয়ে কোনো অংশেই কম না। এখানেও মেঘের উপর দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে।

আর আপনি যদি মনে করেন পাকিস্তান ট্যুর খরুচে হয়ে যাচ্ছে, তাহলে স্মরণ করুন… পাকিস্তানের সৌন্দর্য সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেনের মত। আর ওই দেশগুলো ট্যুরে গেলে দুই-আড়াই লাখেরও বেশি খরচ হয়। সে তুলনায় পাকিস্তান ট্যুর অনেক সস্তা।

তো আজ এতটুকুই …. আগামীতে আরো তথ্য জোগাড় করতে পারলে তা নিয়ে পোস্ট করা হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

আমরা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বৈধ হজ লাইসেন্স এবং আইটিএ অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ।আপনার বিশ্বস্ত ট্রাভেল এজেন্ট

যোগাযোগঃ ইমু ও হোয়াটসএপ 📲01711165606 ,📲01715595991

▶ ঢাকা অফিসঃ ৫১/১ ভিআইপি টাওয়ার,লেভেল -৫,ভিআইপি রোড,নয়াপল্টন ,ঢাকা।

▶কেরানীগঞ্জ অফিসঃ ২৭১ নং জিলা পরিষদ মার্কেট পূর্ব আগানগর,দক্ষিন কেরানীগঞ্জ,ঢাকা।

আমাদের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক টেলিগ্রাম চ্যানেলে আপনি এড হয়ে নিয়মিত এই রকম আরো মাসলা মাসায়েল জানতে

ক্লিক করুন এখানে

হোয়াটস এপে জয়েন করতে ক্লিক করুন

salamsony

Alhamdulliha
View All Articles
Contact Us On WhatsApp